This blog will fix on Retro Songs, Films, Photography and other Mixed Bag interesting topic.
আমার কৈফিয়ৎ
খুব ছোট থেকেই ফিল্ম ও মিউজিক আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করে তার সাথে পাগলের মতো বিভিন্ন ধরনের গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ পড়ার মারাত্মক নেশা। আমার কিছু ভালো লাগা বিষয় ভাগ করে নেবার জন্য আমার এই পাগলামি।
Advertisement
সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০
চেনা গান অজানা কথা - ৩
চেনা গান অজানা কথা - ৩
কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
সময়টা ১৯৫৩ সাল । পুজোর গানের জন্য বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সলিল চৌধুরির কথায় ও সুরে রেকর্ড করলেন দুটি গান । “আমার কিছু মনের আশা” এবং “প্রান্তরের গান আমার” । রেকর্ডিং হয়ে সব কিছু চূড়ান্ত হবার পর, ঠিক গান রিলিজের আগের দিন সলিল চৌধুরির কাছে একটি চিঠি এল । কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব দুঃখের সঙ্গে জানিয়েছেন যে বিশ্বভারতী পরিচালকমণ্ডলীর নাকি প্রবল আপত্তি আছে তাঁর গাওয়া এই দুটো আধুনিক গান নিয়ে, কারণ কণিকা তখন বিশ্বভারতীর একজন প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী । তাই এই গান রিলিজ করা হলে শিল্পীর কাছে বিশ্বভারতীর দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে । চিঠির শেষে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সলিল চৌধুরির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন ।
উৎপলা
সেন
একটু নিরাশ হলেও আগের সব রেকর্ডিং বাতিল করে দিলেন সলিলবাবু । শেষ পর্যন্ত আবার নতুন উদ্যোগে গান দুটির আবার রেকর্ড হোল শুধু এবার কণিকাদেবীর জায়গায় এলেন গায়িকা উৎপলা সেন । প্রথম গানটি তেমন হিট না হলেও তাঁর গাওয়া ‘প্রান্তরের গান আমার’ আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে । যতদূর জানা যায় কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এই রাবীন্দ্রিক সীমাবদ্ধতার জন্য কোনদিন আধুনিক গান গাইতে পারেন নি ।
সলিল
চৌধুরী
কিছুদিন আগেই সলিল চৌধুরীর ৯৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সলিল চৌধুরী ফাউন্ডেশন অফ মিউজিক’ আয়োজন করেছিল এক বিশেষ ওয়েবিনার ‘প্রান্তরের গান আমার’ । সলিল চৌধুরীর জীবনের নানা কথা, কবিতা ও গান আমাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন তাঁর পুত্র ও কন্যা অন্তরা, সঞ্চারী ও সঞ্জয় চৌধুরী । এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল এই গান দিয়ে, গেয়েছিলেন তাঁর কন্যা অন্তরা চৌধুরী ।
আমার কিছু মনের আশা
প্রান্তরের গান আমার
সলিল চৌধুরীর ৯৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সলিল চৌধুরী ফাউন্ডেশন অফ মিউজিক’ -এর নিবেদন ‘প্রান্তরের গান আমার’
২টি মন্তব্য:
Khub valo laglo pore
Thanks...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন