তুমি কত যে দূরে ...।
পঞ্চম বা রাহুল দেব বর্মণের কথা উঠলেই সঙ্গীতপ্রেমী সকল মানুষের কানে রিনরিনিয়ে
উঠে এক ঝাঁক কিছু গানের সুর যেগুলো সত্তর আশির দশকে সারা ভারতের যুব সমাজকে
একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছিল । বাবা শচীন দেব বর্মণের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে তিনি
বিভিন্ন ধরনের মিউজিকের একটা ঘরানা তৈরি
করতে সক্ষম হয়েছিলেন ।
চলচ্চিত্রে শুধু মাত্র বিভিন্ন ধরনের সুরসৃষ্টই নয় আর ডি-কে একজন সঙ্গীত গবেষক হিসাবেও আমরা পাই । গিটারিস্ট নীলাঞ্জন নন্দীর কথায় জানা যায়, ভরাট সুর ছিল পঞ্চমের অতি প্রিয় । শুনতে ভালোবাসতেন ‘জ্যাজ’ । আর সেই সুত্রে বিখ্যাত ‘জ্যাজ’ শিল্পী
লুইস ব্যাঙ্কস কে তিনি আবিস্কার করেন কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে অবস্থিত ‘Trincus’ রেস্তরা থেকে । যারা আশির
দশকে আমার মতো রেডিও শুনে বড় হয়েছেন তারা নিশ্চয়ই মনে করতে পারবেন শশী কাপুর অভিনীত
‘মুক্তি’ ছবিতে পঞ্চম অসাধারন একটি সুর কম্পোজ করেছিলেন যেটি পিয়ানোয় প্রান
পেয়েছিল লুইস ব্যাঙ্কসের আঙ্গুলের ছোঁয়ায় ।
ওফ কি দুর্দান্ত সুর সৃষ্টি করেছিলেন পঞ্চম । আসলে ছন্দ আর রিদম ছিল পঞ্চমের
রক্তে । একটু মন দিয়ে শুনলে বোঝা যায় ওর সৃষ্ট সব গান অথবা মিউজিক পিস এ অসাধারন
কিছু তালের প্যাটার্ন পাওয়া যায় যেগুলোর ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন পাইওনিয়ার ।
![]() |
সুরসৃষ্টির নেশায় পঞ্চম মহ রফির সাথে |
লুইস ব্যাঙ্কসের পাশাপাশি আরও একজনের কথা না বললেই নয়, তিনি
হলেন আমাদের কলকাতার খুব কাছের ঊষা উত্থুপ (তখন ছিলেন আইয়ার) । সময়টা ৬০ এর দশকের
শেষ দিক । পঞ্চম গেছেন ‘Trincus’ এ । তখন ঊষা আইয়ার ছিলেন
জনপ্রিয় পপ গায়িকা । মূলত ইংরেজি গানই তিনি বেশীর ভাগ গাইতেন । ঊষার গানের ধরন পঞ্চমের মনে গেঁথে গেল । হয়ত সেই দিনই পঞ্চম মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিলেন
তাঁর আগামী ছবি ‘হরে রামা হরে কৃষ্ণ’ তে ঊষাকে দিয়ে একটা অন্য ধরনের গান গাওয়াবেন
। আর হলও তাই, ১৯৭১ এর বিখ্যাত হিট ছবি ‘হরে
রামা হরে কৃষ্ণ’ তে পঞ্চম সৃষ্টি করলেন একটা অসাধারন গান "I Love
You" যেটি গেয়েছিলেন ঊষা
উত্থুপ আর তার সাথে যোগ্য সংগত দিয়েছিলেন আশা ভোঁসলে ।
‘হরে
রামা হরে কৃষ্ণ’ তে সেই অসাধারন গান "I Love
You"
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের একটা অপূর্ব মেল বন্ধন ঘটিয়েছিলেন
‘তিসরি মঞ্ছিল’ থেকে শুরু করে মেরে জীবন সাথী, মেহবুবা, আজনবি, খুশবু, পরিচয়,
শোলে, গোলমাল, শান, দ্যা ট্রেন, আপনা দেশ, অর্জুন, কটি পতঙ্গ ইত্যাদি আরও অনেক
ছবিতে ।
পঞ্চমের শাস্ত্রীয় সংগীতের হাতেখড়ি হয় উস্তাদ আলি আকবর খাঁ সাহেবের হাতে। ৭০ এর পঞ্চম শুধু বিদেশি সংগীত নিয়ে পড়ে থাকেননি, শাস্ত্রীয় সংগীত নিয়েও বেশ কিছু
কাজকর্ম করেছিলেন। পাশে পেয়েছিলেন গুলজার সাহেবের লেখা আর কিশোর
কুমারের গলা। আর ডি, গুলজার আর কিশোর কম্বিনেশন বলিউড কাঁপিয়ে দেয় ৭০ এর দশকে। কি সব গান বেরিয়ে এসেছিল এই তিনজনের যুগলবন্দীতে! ‘মুসাফির হুঁ ইয়ারো’,
‘ও মাঝি রে আপনা কিনারা’, ‘তেরে
বিনা জিন্দেগী সে কোয়ি’, ‘তুম আ গ্যায়ে হো নুর আ গ্যায়া হ্যায়’,
‘আনেওয়ালা পল জানেওয়ালা হ্যায়’। তবে কিশোর কুমারের সাথে
একটা আলাদা সম্পর্ক ছিল আর ডি-র। শুধু রাগপ্রধান গান গাওয়া ছাড়াও
কিশোরের গলায় ও রাজেশ খান্নার লিপে
আর ডি ভারতবর্ষকে সুরমূর্ছনায় ডুবিয়ে রেখেছিলেন একটা গোটা দশক।
এইসময় বেশকিছু পরীক্ষামূলক কাজের মাধ্যমে তিনি
পিছনে ফেলে দেন তাঁর সমসাময়িক মিউজিক ডিরেক্টরদের। কিছু গানের
শুরুতে এমন কিছু
আওয়াজ তৈরি করেন
যা সেইসময় বসে করা দূরে থাকা
ভাবতেও কেউ পারতেন না। কিন্তু তিনি
তো সরস্বতীর বরপুত্র। তাই অনায়াসে অমন শব্দ
সৃষ্টি করে গেছেন। যেমন ‘শোলে’ সিনেমায় ‘মেহবুবা মেহবুবা’ গানের
আগে ফাঁকা বোতলের শব্দ, ‘পড়োসন’ সিনেমায় ‘মেরে
সামনেওয়ালি খিড়কি’ গানের
আগে চিরুনি ঘষার
শব্দ, ‘ইঁয়াদো কি বারাত’
সিনেমায় ‘চুরা লিয়া
হ্যায় তুমনে যো দিল কো’ গানের
আগে বোতলের গায়ে
কাঁটা চামচ ঠোকার
শব্দ, অথবা 'কিতাব' ছবির সেই বিখ্যাত গান 'ধান্নো কি আখো মে রাত কা সুরমা', গানটিতে একটা বিশেষ ইলেকট্রিক্যাল গ্যাজেটের সাউন্ড এফেক্ট ব্যবহার করেছিলেন যেটা একদমই কোন মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট নয় । 'ঘর' ছবির সেই গানটা মনে আছে, 'তেরে বিনা জিয়া যায়ে না' যাতে পঞ্চম একসঙ্গে ব্যবহার করেছিলেন চার চারটে তবলা চার রকম তালে। শুধু মাত্র গানের সুর ছাড়াও ছবির সিকয়েনস মিউজিক বানানোতেও তিনি ছিলেন
বেতাজ বাদশা । এই প্রসঙ্গে মনে এল ১৯৮৫ এর ছবি ‘অর্জুন’, সানি দেওল অভিনীত একটি
ফ্লপ ছবি কিন্তু এর প্রতিটি গান লোকের মুখে মুখে ফিরত । এই ছবির সিকয়েনস মিউজিকে
পঞ্চম সৃষ্টি করেছিলেন অসাধারন কিছু ফিউশন ।
যারা দেখেছেন তারা নিশ্চই মনে করতে পারবেন একটি বর্ষণসিক্ত সন্ধ্যায় বাজারের ভিতর দুষ্কৃতীকারীরা একজনকে তাড়া করে খুন করার এক হাড় হিম করা দৃশ্যের কথা । এখানে
পঞ্চম নিজের ভয়েসটিকে খুব সুনিপুন ভাবে ব্যাবহার করেছিলেন তার সাথে ছিল আফ্রিকান
ড্রাম যেটি বাজিয়েছিলেন ‘বসানভা’ নামে পঞ্চমের একজন মিউজিশিয়ান । একেবারে অন্যরকম
আঙ্গিকে বাজানো । দৃশ্যটি দেখার সময় যদি আপনি ভয়ে চোখ বন্ধ করে রাখেন, তবুও কানে
যে আবহটি ঢুকবে, সেটাই জানান দেবে যে পর্দায় কিছু ভয়ংকর একটা ঘটছে । রাহুল দেব বর্মণের সুরের এটাই ছিল একটা বৈশিষ্ট ।
অর্জুন ছবির সেই বিখ্যাত মিউজিক যেখানে রাহুল নিজের কণ্ঠ ও আফ্রিকান ড্রাম ব্যবহার করেছিলেন
[ ছবি রায় হলেন রুবি রায়, কি করে ??? জানতে এখানে ক্লিক করুন ]
নিজের গলার স্বর ও শ্বাস প্রশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টি
করেছিলেন অসাধারন কিছু গানের সিকয়েনস মিউজিক । যার একটি হল, ‘মেরা নাম হ্যায় শবনম, প্যার সে লগ মুঝে শাব্বু
কায়তে হ্যায়’, কটি পতঙ্গ (১৯৭১) ছবির এই
গানটি যদি কেউ শোনেন তাহলে কান দিয়ে অনুভব করবেন পঞ্চম এখানে আশা ভোঁসলের গানের
পাশাপাশি নিজের শ্বাস প্রশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন দুর্ধর্ষ একটি সিকয়েনস । অনেকেই জানে না এটি ভারতের সর্ব
প্রথম র্যাপ সঙ (অনেকে অবশ্য বলেন ভারতের
প্রথম র্যাপ সঙ হল ‘আশীর্বাদ’ ছবির ‘রেলগাড়ি রেলগাড়ি’ গানটি যেটি গেয়েছিলেন
দাদামনি অশোক কুমার এবং গানটির সুরকার ছিলেন বসন্ত দেশাই) । এই রকম আরও একটি গান পঞ্চম নিজে গেয়েছিলেন 'আপনা দেশ' ছবিতে 'দুনিয়া মে লোগো কো ধোঁকা কাভি হো যাতা হে'। গানটি যারাই শুনেছেন তারাই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন একই সাথে নিজের শ্বাস প্রশ্বাসের সাউণ্ড এফেক্ট কে কাজে লাগিয়ে সমান তালে গানটি তিনি গেয়েছেন, আশা ভোঁসলের যোগ্য সঙ্গতে।
নিজের গলার স্বর ও শ্বাস প্রশ্বাসকে দুর্দান্ত ভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন এইগানে
![]() |
। |
এর পাশাপাশি পঞ্চম ছিলেন একজন ভালো যন্ত্রশিল্পীও । তবলা, মাউথ অর্গান ও সরোদ বাজাতে পারতেন সমান
তালে । গুলজারের ‘দিল পারসি হ্যায়‘ এ্যালবামে সুর সৃষ্টির পাশাপাশি অনেকগুলি গানে তিনি সেতারও বাজিয়েছিলেন । এই এ্যালবামের একটা বৈশিষ্ট ছিল বেশ কিছু সাউন্ড এফেক্টের নিপুন ব্যবহার,
যেমন, জলের শব্দ, জাহাজের ভেঁপু, পাখির কিচিরমিচির, বাইকের শব্দ, গির্জার ঘণ্টার
শব্দ যেগুলি পঞ্চম খুব পরিশ্রম করে সংগ্রহ করেছিলেন কারণ এই এ্যালবামটা তাঁর
জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল আর সেই জন্যই বোধহয় সাউন্ড এফেক্টের ব্যাপারে তিনি কোন
আপোষ করতে চান নি ।
দিল পারসি অ্যালবামের একটি গান
বন্ধু লক্ষ্মীকান্ত (লক্ষ্মীকান্ত প্যারালাল) এর কথায় জানা
যায়, ‘দোস্ত’ ছবিতে পঞ্চম একজন সাধারন মিউজিসিয়ানের মতোই স্টুডিয়োতে এসে রেকর্ড
করেছিলেন মাউথ অর্গানের সুর । এতে তার
মধ্যে কোন ইগো কাজ করেনি । ভীষণ আমায়িক এই মানুষটির দিনের মধ্যে তাঁর মিউজিক রুমেই
কেটে যেত দশ বারো ঘণ্টা । নেপালি ফোক ছিল
তাঁর খুব পছন্দের । এর সুত্রে তিনি
পেয়েছিলেন রঞ্জিত গজমের কে যাকে সঙ্গীত জগত চেনে কাঞ্চা
নামে । ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণা’ ছবির সেই
বিখ্যাত গান ‘কাঞ্চী রে কাঞ্চীরে’ , কিশোর কুমারের গলায় সেই বিখ্যাত গানটা কখন
পুরনো হবে না যার সুর পঞ্চম বানিয়েছিলেন একটি নেপালি ফোকের উপর । এই গানের নেপালি
থুম্বা বাজিয়েছিলেন রঞ্জিত গজমের । ‘হাম
দোনো দো প্রেমী দুনিয়া ছোড় চলে’ , আজনবি ছবির এই গান ও ‘হো গা তুম সে প্যারা কউন’
, জামানে কো দিখানা হ্যায় ছবির গান গুলিতেও ছিল
নেপালি থুম্বা ও একটা সুন্দর নেপালি ফ্লুট এর সুর যা আজও খুব জনপ্রিয় ।
পঞ্চম নিজে থেকে গান গাইতে চাইতেন না। যদি কোন গায়ক নিজে থেকে অপারগতা জানাতেন, তবেই তিনি সেই ছবিতে গান গাইতেন, কারণ পঞ্চমের কিছু কিছু সুরে যে আপ-ডাউন থাক্তন, সেই অনেকের পক্ষেই তোলা সব সময় সম্ভব হত না। 'জমানো কো দিখানা হ্যায়' ছবির একটি গান 'দিল লেনা খেল হ্যায় দিলদার কা' তেমনই একটা গান। 'শোলে'র 'মেহবুবা মেহবুবা' সেই তালিকায় পড়ে, শোনা যায় প্রথমে তিনি এই গানটা কিশোরকুমারের জন্য ভেবেছিলেন তারপর মান্না দে, কিন্তু তারা কেউ রাজী না হওয়ায় গানটি পঞ্চম নিজের মতো করে বেঁধেছিলেন। তারপর তো এই গান ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।
![]() |
‘প্যান্থেরা’ এলবামের রেকর্ড কভার |
আশির দশকের মাঝামাঝি আমেরিকায় নিগ্রো সঙ্গীত ব্যাক্তিদের
সাথে ও বয় জর্জের সাথে হাত মিলিয়ে
করেছিলেন বানিয়েছিলেন এক নতুন ধরনেরে সঙ্গীত যার নাম দিলেন ‘প্যান্থেরা’
। লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার প্রানমাতান
সুরের কাঠামোকে মাথায় রেখে কম্পোজ করলেন পুরো এ্যালবামটি ।
একটা ছোট্ট ট্রিভিয়া দিয়ে শেষ করছি। জানেন, বাবা শচীন দেব বর্মণ মাত্র একবারই ছেলে রাহুলের সুরে একটি মাত্র গান গেয়েছিলেন।
নিজে একজন খ্যাতনামা সঙ্গীত পরিচালক সেইজন্যই হয়তো একটা ইগো কাজ করত ছেলের ছবিতে গান না গাইবার। ১৯৭২ সালে শক্তি সামন্ত পরিচালিত 'অমর প্রেম' ছবিতে শেষ পর্যন্ত শচীনকর্তার ইগো পরাজিত হোল, ছেলে পঞ্চমের অনুরোধ আর ঠেলতে পারলেন না। ছবিতে ছেলের সুরে গাইলেন সেই কালজয়ী গান, 'ডোলি মে বিঠাই কে কাহা'। আর এই 'অমর প্রেম' ছবিটি ছিল ১৯৭০ সালে রিলিজ হওয়া পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত একটি ছবি 'নিশিপদ্ম'-এর হিন্দি রিমেক, যাতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। বনফুলের একটি ছোট গল্প 'হিঙের কচুরি' এর চিত্ররূপ হোল এই নিশিপদ্ম ও হিন্দিতে অমর প্রেম।
![]() |
বাবা ও ছেলে এক ফ্রেমে |
নিজে একজন খ্যাতনামা সঙ্গীত পরিচালক সেইজন্যই হয়তো একটা ইগো কাজ করত ছেলের ছবিতে গান না গাইবার। ১৯৭২ সালে শক্তি সামন্ত পরিচালিত 'অমর প্রেম' ছবিতে শেষ পর্যন্ত শচীনকর্তার ইগো পরাজিত হোল, ছেলে পঞ্চমের অনুরোধ আর ঠেলতে পারলেন না। ছবিতে ছেলের সুরে গাইলেন সেই কালজয়ী গান, 'ডোলি মে বিঠাই কে কাহা'। আর এই 'অমর প্রেম' ছবিটি ছিল ১৯৭০ সালে রিলিজ হওয়া পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত একটি ছবি 'নিশিপদ্ম'-এর হিন্দি রিমেক, যাতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। বনফুলের একটি ছোট গল্প 'হিঙের কচুরি' এর চিত্ররূপ হোল এই নিশিপদ্ম ও হিন্দিতে অমর প্রেম।
অমর প্রেম সিনেমাতে পঞ্চমের কম্পোজ করা শচীন দেব বর্মণের গাওয়া সেই বিখ্যাত গান
এই সামান্য পরিসরে, রাহুল দেব বর্মণের মতো ব্যাক্তিত্বকে তুলে ধরা অত্যন্ত
কঠিন । তাই আজ ওনার ৮২ তম জন্মদিনে সুবিশাল সমুদ্র থেকে এক ঘটি জল তোলার মতো কিছু
দিক শেয়ার করলাম । আপনাদের ভালো লাগলে
আমার পরিশ্রম সার্থক হবে । তবে কথা দিচ্ছি রাহুল দেব বর্মনের সুরসৃষ্টি নিয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছে রইল ভবিষ্যৎ-এ।
[ ছবি রায় হলেন রুবি রায়, কি করে ??? জানতে এখানে ক্লিক করুন ]
তথ্যঋণ ঃ
সাপ্তাহিক বর্তমান , আনন্দলোক, মুঝে চলতে জানা হ্যায় - a musical documentary on Rahul Dev Burman by Brahmanand S Singh,
প্রবীর মিত্র
২৭/০৬/২০২১
৯টি মন্তব্য:
চমৎকার লাগলো।লেখার সঙ্গে গানের অনুষঙ্গ লেখাটার মধ্যে একটা দারুণ বৈচিত্র্য তৈরী করেছে।
Very very nice and analytically writen
একজন খাঁটি সঙ্গীতানুরাগীর মনন ও লেখনী !!
ধন্যবাদ আপনাকে
Thank you very much.
ধন্যবাদ সনত, ভালো থেক
সত্যি তোমার জন্য অনেক কিছু জানতে পারলাম সেইজন্য তোমাকে ধন্যবাদ। অসাধারণ লেখনী।
Khub bhalo and informative
Thanks Sudip
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন