Advertisement

ফিরে দেখা সেইসব দিনগুলো, যেগুলো আমাদের ছোটবেলা ভরিয়ে রাখত

শনিবার, ১৫ মে, ২০২১

চেনা গানের অজানা কথা ৭

 

অভিশপ্ত খেলার সেই গান 

বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক তরজায়, মিছিলে ‘খেলা হবে’ বলে একটা কথা শুনছি। কিছু গানও বাজছে ভোটপ্রচারের স্পিকারে। আচ্ছা বলুন তো, খেলা নিয়ে কোন গানটা সবার আগে মাথায় আসে? সবাই একবাক্যে বলবেন, ‘সব খেলার সেরা বাঙ্গালীর তুমি ফুটবল’। ‘ধন্যিমেয়ে’ ছবির গান, মান্না দে’র কণ্ঠে। উত্তমকুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও জয়া ভাদুড়ি অভিনীত এই মজার ছবিটি ১৯৭১ সালে রিলিজ হয়েছিল। বেশ কয়েকটি হিট গানের মধ্যে এই ছবিতে মান্না দে-র গাওয়া এই গানটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। গানের কথা লিখেছিলেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরারোপ করেছিলেন নচিকেতা ঘোষ। আজীবন মোহনবাগান সমর্থক মান্নাবাবু ফুটবল নিয়ে এই একটি গানই কিন্তু গাননি, আরও একটি গান ছিল, আজ সেই গানের গল্পই বলব। গানটি ছিল ‘খেলা ফুটবল খেলা, খোকা দেখতে গেল, সেই সকালবেলা’।  শুনলে মনটা আজও বিষাদে ভরে যাবে। আজ যে সমস্ত ফুটবলপ্রেমীদের বয়েস ষাট পেরিয়েছে তারা হয়তো মনে করতে পারবেন এই গানটির সাথে জড়িয়ে আছে  কলকাতা ফুটবলের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক দিন, ১৬ই আগস্ট, ১৯৮০। ইডেনে সেদিন ছিল কলকাতা লিগের ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচ।  সেই সময়, ইডেনে ক্রিকেট ও ফুটবল দুটো খেলাই হত, কারণ তখনও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের কাজ শেষ হতে বছর চারেক বাকী। সেদিন সেই ম্যাচে মোহনবাগান এর অধিনায়ক ছিলেন কম্পটন দত্ত ও ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন সত্যজিৎ মিত্র আর রেফারী ছিলেন সুধীন চট্টোপাধ্যায়। খেলা শুরু হবার কিছুক্ষণ পর ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় দিলীপ পালিত অত্যন্ত বাজে ভাবে ফাউল করে বসলেন মোহনবাগানের বিদেশ বসুকে। কিন্তু রেফারী সুধীন চট্টোপাধ্যায় ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলেন এবং দিলীপ পালিতকে কোন রকম সতর্ক করলেন না। গ্যালারীতে তখন মোহনবাগান সমর্থকরা রাগে ফুঁসতে লাগলো। ঠিক একই ঘটনা পুনরায় ঘটল খেলার সেকেন্ড হাফ-এ। বিদেশ বসু ফাউল করে বসলেন ইস্টবেঙ্গলের দিলীপ পালিতকে। রেফারী সুধীন চট্টোপাধ্যায় বিদেশ বসুকে সটান লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে যেতে বললেন। ওদিকে তখন মোহনবাগান গ্যালারী রাগে ফেটে পড়ছে, মোহনবাগান সমর্থকদের চিল চিৎকারে কানপাতা দায়। খেলা প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার জোগাড়, তখন রেফারী আরও একটা সাংঘাতিক ভুল করে বসলেন।  ঘটনাটা ব্যালেন্স করার জন্য এবার লাল কার্ড দেখিয়ে বসলেন দিলীপ পালিতকে।


 

বাকী অংশ পড়ার জন্য ক্লিক করুন এখানে   

 

কোন মন্তব্য নেই: